শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নৌবহরের সব জাহাজে অংশগ্রহণকারীরা অবস্থান করছেন এবং যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। জাহাজগুলোতে মানবিক সহায়তা বহন করা হচ্ছে। এতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম রয়েছে।
নৌবহরের একটি জাহাজে থাকা ক্রোয়েশিয়ার আইনজীবী মোরানা মিলজানোভিচ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলসীমা বা অন্য দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজ আটকানোর কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই। তিনি বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক প্রচলিত আইনের বিষয়। কোনো রাষ্ট্রই শুধু কোনো কনভেনশনের ভিত্তিতে নয়, সাধারণ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বেসামরিক নৌকাকে আটকাতে পারে না।”
মিলজানোভিচ আরও বলেছেন, “ইসরায়েল কেবল তখনই আটকাতে পারে, যদি কোনো অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রমাণিত হুমকি থাকে। এখানে এমন কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের চারপাশের নৌবহর মানবিক সহায়তা বহন করছে। তাই এটি নিছক মানবিক উদ্যোগ। অংশগ্রহণকারীদের ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও তা প্রাসঙ্গিক নয়।”
নৌবহরটি গাজার উপকূলে পৌঁছানোর মাধ্যমে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েও এগোচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, গাজার বর্তমান সংকটের প্রতিবাদ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কাড়ার পাশাপাশি এই উদ্যোগ ইসরায়েলি নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনী বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এখনই ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে এবং যে কোনো মুহূর্তে নৌবহর ইসরায়েলের বাধার মুখোমুখি হতে পারে। অংশগ্রহণকারীরা এখনো আশাবাদী, মানবিক সহায়তা সঠিকভাবে গাজার মানুষদের কাছে পৌঁছাবে।
সূত্র : আল জাজিরা

0 মন্তব্যসমূহ