সোমবার (৭ জুলাই), বিষয়টি জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে লেখা এক চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
এর আগে, বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল ৩৭ শতাংশ, যা এবার সামান্য হ্রাস পেয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারিত হলো। তবে ট্রাম্পের ভাষায়, এই শুল্কহার এখনো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য "অত্যন্ত উদার"।
চিঠিতে ট্রাম্প লেখেন:
"প্রিয় ড. ইউনূস, আপনাদের দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি দীর্ঘস্থায়ী ও গুরুতর, তবুও আমরা এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছি। তবে এবার আমাদের সম্পর্ক আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্যনীতির ওপর ভিত্তি করে চলবে।"
তিনি আরও বলেন,
"১ আগস্ট ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই শুল্কহার প্রয়োজনীয় হলেও, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির তুলনায় এখনো অনেক কম। তবে, যদি বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো মার্কিন মাটিতে উৎপাদন শুরু করে, তাহলে তাদের জন্য কোনো শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।"
⚠️ বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিলে বাড়বে শুল্ক
চিঠিতে ট্রাম্প সতর্ক করে আরও বলেন, যদি বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তবে মার্কিন পক্ষ থেকেও শুল্ক বাড়ানো হবে।
তিনি লেখেন:
"আপনারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তবে সেই বাড়তি হারকে আমাদের নির্ধারিত ৩৫ শতাংশের সঙ্গে যোগ করে নতুন হার নির্ধারণ করা হবে।"
তিনি যুক্তি দেন, এই শুল্ক শুধুই বাণিজ্য ঘাটতি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
📌 উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্যের বড় একটি বাজার। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রপ্তানিকারকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখছেন এবং আশা করছেন দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে পারবে।
0 মন্তব্যসমূহ