Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মেরকোসুর দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য সুখবর: ব্রাজিলের নাগরিকত্ব মিলবে মাত্র ১ থেকে ৪ বছরে



এইমাত্র পাওয়া সংবাদ প্রতিবেদন :
📅 প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫
📰 আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ব্রাজিল সংবাদ
ব্রাসিলিয়া: দক্ষিণ আমেরিকান আঞ্চলিক জোট মেরকোসুর (MERCOSUR) ও এর সহযোগী দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ব্রাজিল সরকার নাগরিকত্বের পথ আরও সহজ করে তুলেছে। এখন ব্রাজিলে স্থায়ীভাবে বসবাসের নির্দিষ্ট সময় পার করলেই আবেদন করা যাবে ব্রাজিলীয় নাগরিকত্বের জন্য।
ব্রাজিলের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, মেরকোসুরভুক্ত দেশের নাগরিকরা প্রথমে ২ বছরের অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি পান, যা পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসে রূপান্তর করা যায়। এই স্থায়ী বসবাসের নির্দিষ্ট সময় পার হলে নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ তৈরি হয়।
ব্রাজিলে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে একাধিক শর্তের উপর। সাধারণত, একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে ৪ বছর নিয়মিতভাবে ব্রাজিলে বসবাস করতে হয় নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য।
তবে বিশেষ কিছু শর্তে এই সময় কমে আসে:
ব্রাজিলীয় নাগরিকের সাথে বিবাহিত বা তাদের বাচ্চা ব্রাজিলীয় নাগরিক হলে: আবেদন করা যাবে মাত্র ১ বছরের স্থায়ী বসবাস শেষে।
বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রাখলে: আবেদন করা যাবে ২ বছরের বসবাসের পরেই
আবেদনকারীর অবস্থা                
প্রয়োজনীয় স্থায়ী বসবাসের সময়
সাধারণ নিয়ম (কোনো বিশেষ শর্ত ছাড়া)               ৪ বছর
ব্রাজিলীয় স্বামী/স্ত্রী বা সন্তান থাকলে              ১ বছর
বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়াগত অবদান থাকলে             ২ বছর


মেরকোসুর একটি দক্ষিণ আমেরিকান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট, যার পূর্ণ সদস্য দেশগুলো হলো: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে। এছাড়াও বলিভিয়া সদস্যপদ প্রক্রিয়ায় আছে এবং চিলি, পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর প্রভৃতি সহযোগী সদস্য।
ব্রাজিলের অভিবাসন অধিদফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, “মেরকোসুর চুক্তি অনুযায়ী এই বিশেষ সুযোগ আমাদের আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং অভিবাসীদের জন্য একটি মানবিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”
📌 তথ্যসূত্র: ব্রাজিলের অভিবাসন আইন (Lei de Migração Nº 13.445/2017), মেরকোসুর আবাসন চুক্তি, এবং অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক নীতিমালা।
🔍 আরও জানুন: নাগরিকত্ব আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন ফি ও দাফতরিক ঠিকানা জানতে চাইলে যোগাযোগ করুন আপনার নিকটস্থ ব্রাজিলিয়ান কনসুলেট বা ভিজিট করুন: www.gov.br/migracoes

মেরকোসুর: দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোটে যুক্ত ১৩ দেশ
 দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুর (Mercado Común del Sur) বর্তমানে ১৩টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে পূর্ণ, সহযোগী এবং পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জোটের লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংহতি নিশ্চিত করা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও গতিশীল সম্পর্ক গড়ে তোলা।
✅ পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র (Full Members)
বর্তমানে মেরকোসুরের পূর্ণ সদস্য দেশ রয়েছে ৫টি:

(১) আর্জেন্টিনা
(৩)প্যারাগুয়ে
(৪) উরুগুয়ে
(৫) বলিভিয়া (২০২৪ সালের জুলাইয়ে নতুন পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়)

🚫 স্থগিত সদস্য রাষ্ট্র
(৬) ভেনেজুয়েলা – ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে মেরকোসুর থেকে স্থগিত করা হয়েছে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।

🤝 সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র (Associate Members)
মেরকোসুরের সঙ্গে বাণিজ্য ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে ৭টি সহযোগী
 দেশ:
(১) চিলি
(২) কলম্বিয়া
(৩) ইকুয়েডর
(৪) গায়ানা
(৫) পেরু
(৬) পানামা
(৭) সুরিনাম
👁️ পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র (Observer States)
আলোচনার পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র:

(১) মেক্সিকো
(২) নিউজিল্যান্ড

📌 সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা
মেরকোসুরের বিস্তৃতি কেবলমাত্র দক্ষিণ আমেরিকায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যেও একাধিক দেশ সংস্থাটির সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলছে। বলিভিয়ার অন্তর্ভুক্তি ও কানাডা, ইইউ–এর সঙ্গে চলমান বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা মেরকোসুরের ভৌগোলিক ও কৌশলগত গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও, অভিবাসন, শিক্ষাবিনিময়, এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় মেরকোসুর সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে অভিবাসনের ক্ষেত্রে, মেরকোসুর দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য একাধিক সুবিধা, যেমন ব্রাজিলসহ সদস্য দেশগুলোতে স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বের সহজ শর্ত, এই জোটের তাৎপর্য বাড়িয়ে তুলেছে।

তথ্যসূত্র: MERCOSUR Secretariat, mercosur.int, Reuters, FT

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ